গাছের পাতার কিনারা পুড়ে যাওয়া সমস্যাটি "পাতা ঝলসানো" বা "লিফ স্কর্চ" নামে পরিচিত। এটি সাধারণত প্রতিকূল পরিবেশগত কারণে হয়ে থাকে, যেমন: অতিরিক্ত গরম, শুষ্ক বাতাস বা মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাব। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া ও পটাশিয়াম জনিত কারণেও এমনটি হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার কারণেও পাতা ঝলসাতে পারে।
অতিরিক্ত সার বা লবণাক্ততা:
মাটিতে অতিরিক্ত সার বা লবণাক্ততা থাকলেও পাতা পুড়ে যেতে পারে।
পটাশিয়ামের অভাব:
মাটিতে পটাশিয়ামের অভাব হলেও পাতার কিনারা পুড়ে যেতে পারে।
পরিবেশগত কারণ:
উচ্চ তাপমাত্রা, শুষ্ক বাতাস, এবং মাটির আর্দ্রতা কমে গেলে পাতা ঝলসানোর সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত পানি বা কম পানি:
গাছের গোড়ায় বেশি পানি জমে থাকলে বা অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করলেও পাতা ঝলসাতে পারে।
গাছের পাতার কিনারা পুড়ে যাওয়া সমস্যার সমাধানঃ
১. টব বা ড্রামের সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা কনফার্ম করা যেনো অতিরিক্ত পানি ঝমে না থাকে।
২. আক্রান্ত ডাল বা পাতা গুলো ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলা এরপর ডাইথেন এম ৪৫ / ইন্ডোফিল এম ৪৫/ রিডোমিল গোল্ড / ম্যানকোসিল ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম + চিলেটেড জিংক ১ গ্ৰাম + সালফার (থিওভিট/সালফক্স/সালফো কিং) ৩ গ্ৰাম একসাথে মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করা। প্রথমবার প্রয়োগ করার ৩ দিন পর পূনরায় এবং ৭ দিন পর আবার স্প্রে করে প্রয়োগ করতে হবে।
৩. টব বা হাফ ড্রামের মাটিতে পটাশিয়াম সালফেট (এস ও পি) ১ চা চামচ + মনোজিংক ১ চা চামচ প্রয়োগ করতে হবে।
৪. নিয়মিত প্রতি মাসে ১ থেকে ২ বার টব বা ড্রামের মাটিতে সঠিক পরিমাণে খাবার প্রয়োগ করতে হবে। ছাদের গাছে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না যতটুকু সম্ভব জৈব সার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। আক্রান্ত গাছে ইউরিয়া সার ব্যবহার পরিহার করবেন।
৫. বাগান অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে দিবেন । পরিস্কার করার পর একটি ছত্রাকনাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করবেন।