

Kariyat Seeds (কালোমেঘ গাছের বীজ)
৳ 150.00 Original price was: ৳ 150.00.৳ 120.00Current price is: ৳ 120.00.
কারিয়াত বা কালোমেঘ একটি বর্ষজীবী বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে এ উদ্ভিদটি বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। ‘দেশীয় চিরতা’ হিসেবে পরিচিত।
মহাতিক্তা, শ্বেততিক্তা, যাবী, তিক্তফলা, শঙ্খিনী নামও প্রচলিত। উদ্ভিদটির গড় উচ্চতা ১ মিটার, শাখা চতুষ্কোণ এবং পাতা বল্লমাকৃতির। পাতার ওপরের অংশ গাঢ়-সবুজ হলেও নিচের দিক কালো। পাতা মরিচ-পাতার মতো, আগা এবং বোঁটার দিক ক্রমেই সরু—চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা। বাতাসে পাতাগুলো উলটে গেলে দেখতে অনেকটা কালো মেঘের মতোই দেখায়, তাই এই নামকরণ বলে অনেকের ধারণা। কাণ্ড গাঢ়-সবুজ, চতুষ্কোণী ও লম্বালম্বি খাঁজকাটা। পাতা ও আদিকাণ্ডের গোড়া থেকে সাদা ও ছোট ছোট রোমশ ফুল ফোটে। ফুলের রং গোলাপি। বীজ হলুদ-খয়েরি রঙের।
ঔষধিগুণের জন্য একে ‘সর্ব রোগ নিবারণী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্বাদ অত্যন্ত তেতো, তাই একে ‘কিং অব বিটারনেস’ বলা হয়। কালোমেঘের পাতার রস লিভারজনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিসের অব্যর্থ ওষুধ। এটি শরীরের ব্লাড সুগারের পরিমাণকে কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক, রক্ত পরিষ্কারক, রক্ত আমাশয়, কৃমিনাশক, গলা বসে যাওয়া, টন্সিলাইটিসে খুবই ফলপ্রসূ। পাতায় প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পাতার রস নিয়মিত সেবনে শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। গাছের নির্যাস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।
কালমেঘ বৈজ্ঞানিক নাম “এন্ড্রোগ্রাফিস পানিচুলাটা”যার অপর নাম ‘কিং অফ বিটারনেস’, প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই ব্যবহার হয়ে আসছে। এর নিয়মিত সেবন আমাদের নানা রকম রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এর ঔষধি গুনের জন্য সংস্কৃতে একে ‘সর্ব রোগ নিবারণী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ডায়াবেটিস –
কালমেঘ পাতা ডায়াবেটিস এর অব্যর্থ ওষুধ। এটি আমাদের শরীরে ব্লাড সুগার এর পরিমানকে কম রাখতে সাহায্য করে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মতোই এক্ষত্রে এর সেবন করা উচিত।
ক্যান্সার –
কালমেঘ ক্যান্সার নিরাময় এর ক্ষেত্রেও অত্যন্ত্য উপকারী। এর ঔষধি গুন আমাদের শরীরে ক্যান্সার এর কোষগুলিকে সক্রিয় হতে দেয় না বা ক্যান্সারের কোষগুলিকে বাড়তে দেয় না। এটি ক্যান্সার রোগীদের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
লিভার –
লিভার জনিত যে কোনো রকম সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ এই কালমেঘ পাতা। এটি লিভার টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অতিরিক্ত মদ্য পান, বা অতিরিক্ত কড়া ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে আমাদের লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কালোমেঘ পাতা এর নিরাময়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া আজকাল আমাদের খাদ্যাভাস বা ফল ও সবজিতে ব্যবহৃত পেস্টিসাইড আমাদের লিভারকে খারাপ করে দেয়। কালোমেঘের নিয়মিত সেবন এই সমস্যার সবথেকে ভালো সমাধান।
আর্থ্রাইটিস –
কালমেঘ পাতা আর্থ্রাইটিস ও গাউট এর ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ১৫ থেকে ২০টি কালমেঘ পাতার রস করে প্রতিদিন খেলে আর্থ্রাইটিস বা গাউট এর সমস্যা থেকে দূরে থাকা যেতে পারে।
জ্বর, সর্দি, কাশি –
কালমেঘ পাতা জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা, গলা বসে যাওয়া, টনসিল ইত্যাদি ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কালমেঘ পাতা ভালো করে ধুয়ে হালকা গরম জল মিশিয়ে ছাঁকনিতে চেকে নিতে হবে। এই কালমেঘ পাতার রস যেকোনো রকম ঠান্ডা লাগা জনিত রোগ খুব তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তবে এর স্বাদ অতন্ত্য তিতকুটে, তাই রস খাওয়ার সাথে সাথে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে ভালো।
অন্যান্য উপকারিতা –
যেকোনো রকম জ্বর বা ক্রনিক ফিভার বা ভাইরাল ফিভার আমাদের শরীরকে খুব দুর্বল করে দেয়, এছাড়া এই সমস্ত রকম জ্বর আমাদের লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কালমেঘ পাতার রস আমাদের এইসব রকম জ্বর এর ফলে হওয়া শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়া জ্বর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত লিভারকেও ঠিক করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই পাতা ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।
ছোট বাচ্ছাদের ডায়রিয়া, বা গ্যাস, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা রকম রোগের ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতার রস ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া কৃমি হলেও শিশুদের কালমেঘ পাতার রস খাওয়ানো হয়। এর তিৎকুটে স্বাদ কৃমিগুলিকে মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন –
কালমেঘ পাতা রক্তকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ফলত আমাদের ত্বকের নানারকম সমস্যার ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা অত্যন্ত্য কার্যকরী। এছাড়া কালমেঘ পাতা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আলসার প্রতিরোধক –
আলসার প্রতিরোধক হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়া হয়।কালমেঘ পাতা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।এছাড়া এর নিয়মিত সেবন আমাদের শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। অনিয়মিত মাসিক এর সমস্যা বা এর থেকে হওয়া নানা রকম অবাঞ্চিত সমস্যার ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতার রস উপকারী।
সর্প দংশন বা বিছে বা এই ধরণের বিষাক্ত প্রাণীর কামড়ের উপশম হিসেবে কালমেঘ পাতার সাথে পুরো গাছ টিকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কুষ্ঠ রোগ এবং কলেরার চিকিৎসা করতে কালমেঘপাতা ব্যবহৃত হয়। তবে গর্ভবতী মহিলাদের কালমেঘ পাতার সেবন একেবারেই উচিত নয়।